পুলিশ এবং আর্মির মধ্যে একটা ইগোর দ্বন্দ্ব সবসময় কাজ করে। আর্মির সেপাই মর্যাদাগত দিক থেকে নিজেকে পুলিশের সেপাই এর চেয়ে উঁচু ভাবে। নাক উঁচু উঁচু ভাব। তারা সুযোগ পেলেই পুলিশকে এটা বুঝাতে চেষ্টা করে যে, “পুলিশ” জাত খারাপ। আট আনাও ঘুষ খায়। পুলিশের ট্রেনিং কোন ট্রেনিং না। হাতে গাদা বন্দুক। ইত্যাদি ইত্যাদি। সারা বাংলাদেশে এই অবস্থা। বিশেষতঃ বাংলাদেশে দীর্ঘকাল সামরিক শাসনের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি। তো যাই হোকঃ
বি.এন.পি আমলে আর্মি, বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনী, পুলিশ সহ সম্মিলিতভাবে র্যাব গঠন করা হলো। এখন এর প্রধান হলো পুলিশের একজন এডিশনাল আই.জি। এই প্রথম আর্মি পড়লো পুলিশের অধীনে। পুলিশ সেপাইদের আনন্দ আর ধরে না। মেসে একসাথে সবাই থাকে। রাতে পাশাপাশি বিছানায় শুয়ে আর্মি সেপাই আর পুলিশের সেপাই। এর মধ্যে কিন্তু কুটুর কাটুর চলতেই থাকে। সি.ও সাহেবের কানে গেল। উনি নির্দেশ দিলেন এই বাহিনীর সকল সদস্যের মর্যাদা সমান। কেউ কাউকে হেয় করে কথা বলতে পারবে না। অভিযোগ আসলে শাস্তি হবে।
কিন্তু ২ সেপাই রাতে পাশাপাশি শুয়ে। তাদের গলা চুলকাতেই থাকে। কে কাকে টেকনিক্যালি হেয় করবে অথচ অভিযোগ করার সুযোগ পাবে না। সে চিন্তা আর বুদ্ধি বের করে। বিশেষতঃ আর্মির সেপাই।
রাত ১.০ টা।
আর্মি সেপাইঃ পুলিশ ভাই! জেগে আছেন।
পুলিশ সেপাইঃ আছি, বলেন।
আর্মি সেপাইঃ না বলছিলাম কি, আমি হিল ট্রাক্টসে ছিলাম। সেখানে আমরা তো ক্যান্টনমেন্ট বা ক্যাম্পে থাকতাম। আর পুলিশরা যা কষ্ট করতো। আর্মির কথামত রাস্তার পার্শ্বে বসে থাকতো সারাদিন রাত।
পুলিশ সেপাইঃ জ্বি, আর কোন কথা আছে?
আর্মি সেপাইঃ না গেরাই! বলছিলাম কি, দেখতাম যে ২ বছর আড়াই বছর আপনারা ছুটিতেও যেতে পারতেন না।
পুলিশ সেপাইঃ ঠিকই বলেছেন। আর কিছু?
আর্মি সেপাইঃ না বলছিলাম কি, শুনতাম এর মধ্যে বাড়ীতে আপনাদের বাচ্চাও হতো। মানে আপনাদের স্ত্রীরা সন্তানও প্রসব করতো। চিঠিও আসতো।
মনে কিছু নিয়েন না। আপনাদের এই সন্তানদের আপনারা পরে কি করেন?
পুলিশ সেপাইঃ অনেকক্ষণ ভেতরে ভেতরে ফুলার পর বল্লোঃ কি আর করবো ভাই! গরীব মানুষ। ওই বাচ্চারা বড় হলে আমরা আর্মিতে ভর্তি করে দেই।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন